আজকে জাফর ইকবালের লেখা পড়লাম, ক‌’দিন আগে এমনই কারো একজনের লেখা পড়ছিলাম।

হতাশা নিয়ে পড়ছিলাম।

এনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিক্রি করছেন, আওয়ামী লীগের পুরনো গান ফিরে আসছে।

যে গান গেয়ে আওয়ামী লীগ গত সাতটি বছর বিচার ঝুলিয়ে রাখলো, বিচার হলেও রায় উল্টে দেয়া হলো, বয়সের কথা বলে গোলামাজম ফাঁসিতে চড়লো না, বছরের পর বছর চলে যায় রায় কার্যকর হয় না।

আমাদের গোল্ডফিশ স্মৃতি সব ভুলে যায়। জাফর ইকবালের এক বাণীতেই সব ভুলে আমরা আবার দশ বছর পিছিয়ে সব শুরু করি।

ওদিকে সবাই স্বীকার করে নিয়েছে ‘নাস্তিক‌’ শব্দটি একটি অপবাদ। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে পুরো দেশ ত্যাজ্য করছে নাস্তিকদের ।

পুলিসের আইজি, স্বরাষ্টমন্ত্রী, ওলামা লীগ সবাই এক সুরে কোরাস গাইছে, গ্রেপ্তার হবে, সীমা লঙ্ঘন করিও না।

৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে গৃহপালিত প্রগতিশীলেরা মিলে মিশে প্রগতির নাটক রচনা করে, বিচারের পালাগান ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো বাজিয়েই চলে, কিন্তু বিচার আর হয় না। বিচারের নামে সব হয়, রাজনীতি হয়, ক্যারিয়ার হয়, কিন্তু ন্যায্য বিচার আর হয় না। নাটকই সার।

ওদিকে নাস্তিকের গলা চেপে ধরে বুকের ওপর বসে থাকে জঙ্গী, গলায় কোপ দিয়ে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে, একের পর এক। নিরাপত্তা দাবি ভয়ে ভয়ে তুললে শুনতে হয় দুরে গিয়া মর, নয়তো গ্রেপ্তার হবি।

এদিকে লাশ নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। মরে নাস্তিক, মরার পরে হয়ে যায় সবাই গনজাগরন মঞ্চের কর্মী হওয়ার কারনেই মরেছে। সবাই দৌড়ে এসে বলতে থাকে, কই, কোথায়, সে তো নাস্তিক ছিলো না। নাস্তিক তো খ্রাপ জিনিস, সে ছিলো গনজাগরনমঞ্চ, তাই মরেছে।

শাহবাগের হত্যা হয়েছিলো সেদিন, যেদিন নাস্তিক থাবা বাবার লাশ এনে জানাজা পড়ানোর নাম করে গন আন্দোলন হঠাৎ কাতারবন্দী করে ফেলা হলো।

আওয়ামীলীগের ক্ষমতা আপনারা এখনো বুঝেন নাই। সবচে বড়ো ধর্মব্যবসায়ী এই লীগ। শাহবাগে গনমানুষের যে স্পিরিট ছিলো, তাকে গলা চেপে, নাস্তিক শব্দটিকে ঋণাত্মক ব্যবহার করে, জায়নামাজে জানাযায় দাঁড় করিয়ে সকল ক্ষোভ একেবারে সোজা করে দেয়া হয়েছে। ধর্ম এমনই ক্ষমতাশালী অস্ত্র।

কিসের আন্দোলন! কিসের কি! ধর্মই সব শক্তি।

নাটক চলছে, প্রগতিশীলদের নাকের সামনে মুলো ঝুলিয়ে পেছন দিয়ে জোরে সোরে পাকিস্তানীকরনের কাজ চলছে, চলবে।

নাস্তিকেরাই ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো, তাই তাদের মরতে হচ্ছে।

মরার পরে মরদেহ দখল করে গনজাগরনের কর্মী পরিচয়টাকেই বড়ো করে ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।

পলিটিক্স এমনই চিজ!

শাহবাগের স্পিরিট মনে করে, আমরা গনজাগরনমঞ্চকেই ভাবছি বুঝি শাহবাগ। যেদিন শেষ নাস্তিকটা মরে শেষ হয়ে যাবে, সেইদিনই বাংলাদেশের পাকিকরন সম্পূর্ণ হবে।

জয় বাংলা।

 

Posted on FB as well